ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে হার্ট অ্যাটাক করলে দ্রুত তাকে উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় ৪টা ৩৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাজিনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম।
অসুস্থ হওয়ার খবর শোনার পর সেখানে উপস্থিত হন নির্মাতা সকাল আহমেদ। তিনি বলেন, তাজিন আহমেদ সম্ভবত আজ (২২ মে) সকাল ১০টা নাগাদ উত্তরায় নিজ বাসায় হার্ট অ্যাটাক করেন। মাঝে আরেকটি হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। শেষে রিজেন্ট হাসপাতালে আনা হয়।
এদিকে তাজিন আহমেদের মারা যাওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন অভিনেতা রিয়াজ, রওনক হাসান, নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ, অভিনেত্রী জেনীসহ অনেকেই।
অভিনেতা রওনক হাসান জানান, মরদেহ সমাহিত করার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত পরিবার থেকে নেওয়া হয়নি।
তাজিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর করে ভোরের কাগজ, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। আনন্দ ভুবন ম্যাগাজিনের কলামিস্টও ছিলেন তিনি। পরে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে পাবলিক রিলেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মা দিলারা জলির প্রোডাকশন হাউজ ছিল। মায়ের হাত ধরেই অভিনয়জগতে প্রবেশ করেন তাজিন।
‘নাট্যজন’ নাটকদলের হয়ে তিনি মঞ্চে কাজ করেছেন। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ নাট্যদলে যোগ দিয়ে এখনো ‘আরণ্যক’-এর সঙ্গে যুক্ত আছেন। টিভিনাটকে অভিনয় করে পরবর্তীসময়ে দর্শকের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন তাজিন আহমেদ। রেডিও এবং টেলিভিশনে উপস্থাপনাও করেছেন। লেখালেখিও করেন তিনি।
তাজিনের লেখা ও পরিচালনায় তৈরি হয় ‘যাতক’ ও ‘যোগফল’ নামে দুটি নাটক। তার লেখা উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হচ্ছে ‘বৃদ্ধাশ্রম’, ‘অনুর একদিন’, ‘এক আকাশের তারা’, ‘হুম’, ‘সম্পর্ক’ ইত্যাদি।